প্রকাশ : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
২৪খবরবিডি: 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গত শনিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় (বুয়েট) দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। রাজনীতি নিষিদ্ধ বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করায় সেদিন রাতেই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।'
শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের শোকসভা করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি 'অপপ্রচার' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের' ব্যানারে গতকাল দুপুরে বুয়েট অডিটরিয়ামের সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ঘটনার সুষ্ঠু ব্যাখ্যা চেয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর একটি দরখাস্ত পেশ করেন শিক্ষার্থীরা? শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের বিক্ষোভের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাবদিহি আদায় করা। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির কালো থাবা তাঁদের নিরাপদ ক্যাম্পাসকে যেন পুনরায় ত্রাসের রাজত্বে পরিণত না করতে পারে, সেই আশঙ্কার জায়গা থেকে শনিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেন। তাঁর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা সমৃদ্ধিময় সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সদা প্রস্তুত।
আবার 'বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি' চায় ছাত্রলীগ
এদিকে বুয়েটের আন্দোলনকারীদের পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ও ছাত্রশিবির আখ্যা দিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, 'ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কী বোঝাতে চান? আপনারা কি বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না। আপনাদের জন্য অশনিসংকেত। বুয়েট প্রশাসনকে আবারও বিবেচনা করতে বলব, ছাত্ররাজনীতি আবার সচল করে বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করার জন্য আপনারা পদক্ষেপ নেবেন।'
সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, 'আমরা শোক দিবস পালন করি। শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।'